×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৩-২৩, সময় - ০৭:২৮:৩২বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নেওয়া সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার পানি শোধনাগারের একটি প্রকল্পের খরচ সংশোধন করে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা বাড়াল অন্তর্বর্তী সরকার।
রবিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প ফেজ-৩ এর দ্বিতীয় সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই সভা হয়। পরে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এখানে আমরা সময় ব্যয় করেছি। এটা ঢাকা ওয়াসার প্রকল্প। এটার সমস্যা হল, এটা ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে, কিন্তু অগ্রগতি হয়েছে দুই পারসেন্ট। এই বছরের বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা। তার মানে হল, সবাই বোঝে বড় সমস্যা হচ্ছে, ঢাকায় ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে টেকসই সমাধান… এটা শেষ পর্যন্ত সমাধান হবে না।
ভূগর্ভস্থ পানির সংকট এবং পানি শোধনের জন্য বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি থাকায় মূলত এ প্রকল্প সরকারের টেনে নিচ্ছে বলে ইঙ্গিত দেন উপদেষ্টা।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এক সময় না একসময় এ ভূগর্ভস্থ পানি, এখনই তো অনেক নিচে কূপ খনন করতে হয়। এরপর তো আর পাওয়া যাবে না।
কাজেই সারফেস ওয়াটার ব্যবহার করতেই হবে। সারফেস ওয়াটার, যে কারণে খরচও করতে পারছে না, কিন্তু বিদেশি ঋণ অনেক কমিটেড আছে, বাংলাদেশি টাকাও অনেক, চার হাজার কোটি টাকা। বিদেশি ঋণ ১১ হাজার কোটি টাকা।
প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা থাকার পরও কেন অগ্রগতি হচ্ছে না, তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিরাট প্রকল্প, কিন্তু কিছুতেই কেউ প্রগ্রেস করতে পারছে না। কারণ কারো মাথায় ঢুকছে না প্রযুক্তিগতভাবে কী করতে হবে।
এ প্রকল্প যখন নেওয়া হয়, তখন মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৫ সালের জুলাই থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৫৯৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
আওয়ামী লীগ সরকারই এক দফা এর খরচ বাড়ায়। প্রথম সংশোধন করে এর ব্যয় বৃদ্ধি করে প্রকল্পের খরচ ঠিক করা হয় ৭ হাজার ৫১৮ কোটি ৩ লাখ টাকা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ প্রকল্পের আরও ৮ হাজার ৪৯৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের সাকূল্যে ব্যয় ধরেছে ১৬ হাজার ১৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। মেয়াদ ঠিক করা হয়েছে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পের খরচ বাড়লেও উপদেষ্টা এটিকে শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়ার কথা বলেন। এ প্রকল্পের অগ্রগতি এবং নদীর পানির প্রাপ্যতা সময়ে সময়ে দেখে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তার ভাষ্য।
